গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৫০বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি গোয়ঁখালী টেকপাড়া-বিলহাসুরা সড়ক। উন্নয়ন বঞ্চিত এ গ্রামীন সড়কটি এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। সরকার আসে,সরকার যায়। কিন্তু উন্নয়নের নজর পড়েনি কারো চোখে। সড়কটির পুরাতন দৃশ্য অনেকটা পাল্টে গেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ উন্নয়ন বঞ্চিত হওয়ায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এখন এ জনগুরুত্বপুর্ন সড়কটি। স্বাধীনতার পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে সদর ইউনিয়নের গ্রামটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সড়কটির স্বল্প জায়গায় মাটি ভরাট দ্বারা সড়ক রয়েছে। শুস্ক মৌসুমের সময় কোন রকম পায়ে হেটে যাতায়ত করা যায়। কিন্ত বর্ষা মৌসুমে ওই সড়ক পানিতে একাকার হয়। সে সময় সরাসরি যোগাযোগ মুল ভু-খন্ডের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নৌকা নিয়ে লোকজনকে যাতায়ত করতে হয়। টেকপাড়া-বিলহাসুরা গ্রামে মাত্র সোয়া কি.মিটার পর্যন্ত রাস্তা আছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিগত ৩০বছর আগে ওই সোয়া কি.মিটার রাস্তাটি নির্মিত হয়েছিল। পেকুয়া সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এড.কামাল হোসেন বিলহাসুরা মাটি ভরাট দ্বারা উন্নয়ন করে। আবু সওদাগরের দোকান থেকে ওই সড়কের সম্প্রসারন কাজ বাস্তবায়ন করে। গোয়াঁখালী টেকপাড়া-বিলহাসুরা বাবুলের বাড়ি সীমানা গিয়ে মইয়াদিয়া-নন্দীরপাড়া সড়কে শেষ হয়েছে। বিলহাসুরা বাবুলের বাড়ি থেকে টেকপাড়া আলতাফ উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় সোয়া কি.মিটার স্থানে সড়কটি বিলীন হয়েছে। বর্তমানে ওই অংশে সড়কটি প্রায় বিলপ্ত। ফসলি জমি ও ডুবা খালের সাথে একাকার। এতে করে টেকপাড়া-বিলহাসুরা বিপুল জনগোষ্টি চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সড়কের উন্নয়ন না থাকায় এসব এলাকার অন্তত দেড় হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। আবু সওদাগেরর দোকান থেকে বাবুলের বাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কটি প্রায় আড়াই কি.মিটারের মধ্যে সোয়া কি.মিটার সড়কটি ব্রিক সলিন দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। বিগত কয়েক বছর আগে সড়কে ইট বিছানো হয়। ঢলের পানিতে গ্রামীন অবকাঠামো ধ্বসে যায়। সড়কের ইট উঠে গিয়ে কাদা সড়কে রুপান্তর হয়। বর্তমানে ওই অংশেও হাটা চলা অনেকটা দুস্কর।
স্থানীয় ফজল করিম, আশরাফ মিয়া, কামাল হোসেন জানায়, আমরা সরকারের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। বিগত ৫০বছর যাবৎ বসবাস করছি। এখনো এ সড়কের কোন উন্নয়ন দেখেনি। বার বার উন্নয়ন আশ্বাস দেয় জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছেনা। আমরা কতকাল এভাবে থাকব।
আ’লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন, আমির হামজা, নুরু মাঝি জানায়, সবচেয়ে অবহেলিত গ্রাম টেকপাড়া,বিলহাসুরা। গত ৫০বছরেও সড়কটির উন্নয়ন হয়নি। আমাদের ছেলে মেয়েরা বই পুস্তক নিয়ে স্কুল, কলেজে যেতে পারেনা। বর্ষায় নৌকা দিয়ে যাতায়ত করতে হয়। নৌকা না থাকলে অবরুদ্ধ থাকি।
ইউপি সদস্য সাজ্জাদুল ইসলাম জানায়, সড়কটি খুবই গুরুত্বপুর্ন। কিছুটা ইট দ্বারা উন্নয়ন করেছি। দক্ষিন অংশে সড়কটি বিলীন হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে মাটি ভরাট কাজ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। অবশিষ্ট অংশ ভিন্ন ওর্য়াড়ের। কিন্তু খারাপ অবস্থা। বর্ষায় ডুবে থাকে সড়কটি।
পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ জানায়, টেকপাড়া-বিলহাসুরা সড়কটি আসলে অবহেলিত। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই সড়কটিতে বরাদ্ধ দেয়া জরুরী মনে করছি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়ার প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী জানায়, গত অর্থ বছরে সড়কটির কিছু অংশ উন্নয়ন করেছি আমরা। অবশিষ্ট অংশেও ক্রমান্বয়ে উন্নয়ন করা হবে।
পাঠকের মতামত: